তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

Showing posts with label এসইও. Show all posts
Showing posts with label এসইও. Show all posts

অনপেজ এসইও করতে কী কী বিষয় জানা জরুরী

 

অন পেজ এসইও


আমরা অনেকেই সাইট তৈরি করেছি  কিন্তু আমরা কি সঠিকভাবে আমাদের সাইটে অন পেজ সেটআপ করতে পেরেছি? সাইট Ranking এর ক্ষেত্রে অন পেইজ এসইও এর ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন পেইজ এসইও সঠিকভাবে না করার কারণে আমরা বেশিরভাগ সময়ই আমাদের সাইটের Ranking ধরে রাখতে পারিনা ফলে প্রচুর ভিজিটর হারিয়ে ফেলি। আজকেই এই পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে অন পেইজ এসইও এর মারাত্মক কিছু ভুল নিয়ে কথা বলবো এবং কিভাবে আপনি এই ভুল এর সঠিক সমাধান করবেন সেটা নিয়েও আলোচনা করবো, তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
 
১) টাইটেল: আমরা বেশিরভাগ সময়ই টাইটেল ঠিকভাবে লিখিনা যার কারণে বেশিরভাগ ভিজিটর হারিয়ে ফেলতে হয়, টাইটেল অবশ্যই ৫০ থেকে ৬০ ক্যারেকটার এর মধ্যে তৈরি করতে হবে, টাইটেল এর মধ্যে অবশ্যই আপনার পেইজ এর মেইন কীওয়ার্ড থাকতে হবে। অর্থবহ এবং আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করতে হবে।
 
২) সঠিক পেইজ ​URL ব্যবহার না করা: সঠিকভাবে পেইজ ​URL ব্যবহার ব্যবহার করতে হবে, ​​URL সবসময় ছোট হতে হবে, ​​URL পেইজ এর মেইন কীওয়ার্ড ​দিয়ে করা ভাল, অর্থবহ ​​URL তৈরি করতে হবে, ​​​URL এ সংখ্যা ব্যবহার না করা ভাল।
 
৩) ​মেটা ডেসক্রিপশন: ভিজিটর সবসময়ই আপনার ডেসক্রিপশনের দিকে খেয়াল করেই সাইটে প্রবেশ করে, তাই সঠিকভাবে ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। Meta Description ১৫০-১৬০ ক্যারেকটার এর মধ্যে লিখতে হবে, Meta Description​ এ মেইন কীওয়ার্ড ​রাখতে হবে।
 
৪) ছবিতে ALT Text দেয়া: কন্টেন্টের ভিতরে ছবি ব্যবহার করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি ছবিতে ALT Text ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি সাইটের ভিজিটর বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। ALT tag সবসময় কীওয়ার্ড ফোকাস করে দিতে হবে। ALT tag এ ওয়ার্ড সেপারেটর হিসেবে স্পেস ই ব্যবহার করতে হয়।
 
৫) Heading Tag ব্যবহার: সাইটে অবশ্যই Heading Tag সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে। পেইজ এর ​টাইটেল এ অবশ্যই H1 Heading Tag ব্যবহার করা উচিৎ। একটি পেইজ এ H1 ট্যাগ একবারই ব্যবহার করা ভাল, আপনার পেইজ এ কন্টেন্ট এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ Heading গুলিকে H2 / H3 ট্যাগ এ করা ভালো।
 
৬) ​ইন্টার্নাল লিংক:  আপনার সাইটে যে কন্টেন্টটি আপনি লিখছেন ঠিক একই ক্যাটাগরির কন্টেন্টকে আপনার সাইটে লিঙ্কিং করে দেন। এতে আপনার এই কন্টেন্টের পাশাপাশি লিংক করা কন্টেন্ট টাও রাঙ্ক করতে সহায়তা করবে।
 
৭) মোবাইল ফ্রেন্ডলি থিম: সাইটটি অবশ্যই মোবাইল ফ্রেন্ডলি করে ডিজাইন করতে হবে। কেননা Google এর মতে ৫৮% সার্চ আসে মোবাইল থেকে। সুতরাং আপনার ওয়েবসাইট অবশ্যই Mobile Friendly হতে হবে। আপনার সাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন কিনা তা জানতে এই লিংক থেকে চেক করতে পারেন। 
 
৮) ​পেজ লোডিং স্পিডঃ আপনার সাইটের পেজ স্পিড ধীর গতির হলে জেনে রাখেন আপনার সাইট বহুদুরে সরে যাচ্ছে। আপনার সাইট তিন সেকেন্ডের মধ্যে লোড না হলে ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ভিজিটর হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পেজ স্পিডের দিকে নজর দিন। Google এর মতে ৫৩% ইউজার মোবাইল এ আপনার ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যায়, যদি পেইজ টি লোড হতে ৩ সেকেন্ড এর বেশী সময় লাগে।
আপনার ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড কত জানতে এই লিঙ্ক এ ক্লিক করে আপনার সাইট টি চেক করুন। ​
 
যতটুকু জানি সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি, এগুলো সবই অন্য ব্লগ থেকে পড়ে আমার মতো করে গুছিয়ে লেখেছি।

জেনে নিন কিভাবে নতুন সাইটের এসইও করতে হয়

 

এসইও হল যে পদ্ধতিতে আপনার ওয়েবসাইটের পেজকে একটা নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ড এর ভিত্তিতে সার্চের মাধ্যমে গুগল, ইয়াহু, বিং সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে প্রথম পর্যায়ে অবস্থান করানো হয়। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ অনলাইন মার্কেটগুলো গুগোল সার্চ রেজাল্টের অসাধারণ কিছু অ্যালগোরিদম এর জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিন কে টার্গেট করে এসইও করে থাকে। কারণ বর্তমানে গুগলেই সব থেকে বেশি সার্চ করা হয়। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে গেলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হল, সার্চ ইঞ্জিনের অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় আনার জন্য একটা প্রযুক্তিগত কৌশল।

এসইও কতগুলো ধারাবাহিক কাজের সমষ্টি৷ একক কোন কাজ নয় যে শুরু করলেন আর একঘণ্টা পর শেষ করে ফেললেন৷ এসইও ধীরে ধীরে করতে হয়৷ 

সাধারণত অন পেজ এসইও কয়েকটি ধাপে করতে হয়৷ যেমন: সাইটে সঠিক টাইটেল ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে, এরপর সাইটে মেটা ট্যাগ যুক্ত করতে হবে, রোবোট ট্যাগ যুক্ত করতে হবে৷ সাইটের পারমালিংক সুন্দর মানানসই করতে হবে৷ সাইটে ফেভিকন যুক্ত করতে হবে৷ সম্ভব হলে ডিজাইন সুন্দর করতে পারেন৷ 

এরপর সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হবে যেমন: গুগলে সাবমিট করতে পারেন, বিং, ইয়াহু তে সাবমিট করতে পারেন৷ সাইট সাবমিট করার পর সাইটকে ভেরিফাইড করাতে হবে সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে৷ ভেরিফাইড হয়ে গেলে সাইটম্যাপ সাবমিট করতে হবে সার্চ কনসোলে৷ তার আগে নিজের সাইটেও সাইটম্যাপ ইনস্টল করে নিতে হবে৷ তাহলে সার্চ বোট সাইটম্যাপ সহজে খুজে পাবে৷ 

এগুলো গেল অন পেজ এসইও ৷ কিন্তু অফ পেজ এসইও আজীবন করতে হয়৷ এজন্য ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে বিভিন্ন সাইটে, ব্লগে, ফোরামে পোস্ট দিয়ে বা কমেন্ট করে৷ মনে রাখবেন যত বেশি ব্যাকলিংক তত বেশি ভিজিটর৷ সাথে সাথে নিজের সাইটেও অন্যের লিংক শেয়ার করতে হবে৷ ফলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন মনে করবে আপনি মানুষকে দরকারি তথ্য দিয়ে সাহায্য করছেন৷ তাই গুগল আপনার সেই পোস্টকে ইনডেক্স করে নিবে ৷ 

যাইহোক, আশা করি এসইও সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পেয়েছেন৷ এভাবে কাজ করতে থাকেন আর গুগলে এ সম্পর্কে খুজেন আরো অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন৷ ধন্যবাদ৷  

অনপেজ অপটিমাইজেশন কাকে বলে (defination of On page optimazation)

অনপেজ অপটিমাইজেশন হল ওয়েবপেজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অপটিমাইজেশন করা অর্থাৎ ওয়েবসাইটের মধ্যেই এসইও করা। তাই বলা যায় একটি ওয়েব সাইটকে যে কোন সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য যে অপটিমাইজেশন করা হয় সেটাই অনপেজ অপটিমাইজেশন বা অন-পেজ এসইও। সহজ কথায় ওয়েব পেজের মধ্যে যে সকল অপটিমাইজেশন করা হয় তাকেই অন-পেজ অপটিমাইজেশন বলা হয়। সাধারনত ওয়েব পেজে বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ ব্যবহার করা, সুন্দর করে কনটেন্ট লেখার কলাকৌশল, লিংকের ব্যবহার, সাইটের সাজসজ্জা ইত্যাদি করে অনপেজ অপটিমাইজেশন করা হয়।

SEO এর জন্য যে Point গুলো জরুরী

আমরা যখন SEO নিয়ে কাজ করি তখন কতগুলো বিষয়ের উপর প্রাধান্য দিয়ে তা করা হয়| এগুলো না করলে ভাল ফল পাওয়া যায়না | যেমন
১.ওয়েব সাইটের টাইটেল,
২.ওয়েব সাইটের ডেসক্রিপশন,
৩.ওয়েব সাইটের মেটা ট্যাগ,
৪.ওয়েব সাইটের সাইট ম্যাপ,
৫.ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর টাইটেল,
৬.ওয়েব সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর অল্টার ট্যাগ,
৭.ওয়েব সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর ক্যাপশন,
৮.সার্চ ইন্জিনে সাবমিট ইত্যাদি।
এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করে ওয়েব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে দৃষ্টিগোচর করার কাজটিই এসইও’র মূল কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।

কী-ওয়ার্ড (Keyword) কি ?

সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনে কী-ওয়ার্ড একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।মূলত কী-ওয়ার্ডকে দুই ভাবে বলা যেতে পারে। প্রথমতঃ সে সকল শব্দ সমষ্টিকে কী-ওয়ার্ড বলে যা নিয়ে আপনার ওয়েব সাইটটি গঠন করেছেন,
আর দ্বিতীয়তঃ যে সকল মূলশব্দকে আপনি SEO করার জন্য বাছাই করেছেন তাকে।
তবে আমার মতে দ্বিতীয়টাই SEO এর জন্য যথার্থ।কেননা SEO এর ভাষায় কী-ওয়ার্ড হল যে শব্দকে নিয়ে আপনি কাজ করবেন।
উদাহরণ স্বরুপঃ আমরা যখনGoogle বা Yahoo তে বিভিন্ন ওয়ার্ড বা লাইন লিখে সার্চ দেই, যেমন-Free Movies, Hollywood Movies ইত্যাদি।এগুলোই হচ্ছে কীওয়ার্ড|