তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

Showing posts with label প্যাথলজি. Show all posts
Showing posts with label প্যাথলজি. Show all posts

জেনে নিন মানবদেহ সম্পর্কে অবাক করা কিছু তথ্য

কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আজকে আপনাদের সামনে হাজির হলাম নুতন দরকারি একটা টিপস নিয়ে ৷ আর এই দরকারি পোস্টটি আমাদের শরীর নিয়ে ৷ মহান আল্লাহ আমাদের শরীরটাকে এমন ভাবে তৈরি করেছেন যেটার কারুকাজ বিজ্ঞানীদের মাথা খারাপ করে দেয় ৷ শরীরের প্রতিটা জিনিস এত সুক্ষ ভাবে করেছেন যা নিয়ে ভাবলে তার সৃষ্টির প্রশংসা না করে পারা যায় না ৷ তিনি যে মহান স্রষ্টা তা আমাদের দেহ নিয়ে ভাবলেই বুঝা যায় ৷ যাই হোক কথা না বাড়িয়ে আসল কথায় আসি ৷ জেনে নিন অবাক করা মানবদেহের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ -

পিরিয়ডের সময় যেসব কাজ করা উচিৎ নয়


পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে মেয়েদের নানা  রকম সমস্যা দেখা দেয়। এসবের মধ্যে সবচেয়ে কমন হচ্ছে তলপেটে পেটে ব্যথা, স্টোমাক ক্র্যাম্প ইত্যাদি। এই সময় অনেক কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় । কিন্তু আমরা অনেকেই তা জানিনা বলে না মেনে সেই কাজগুলি সচরাচর করে থাকি। ফলে বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়ে বিপদ ঘটতে পারে।

এইসময় শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়া দৌড়াদৌড়ি না করা, আস্তে হাঁটা চলা করা, সময়মত কাপড় বা প্যাড চেন্জ করা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা ইত্যাদি করা দরকার। এছাড়াও এমন  কতগুলো কাজ আছে যা  করলে  সারাজীবনের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আসুন জেনে নেই  সেই কাজগুলি কী কী -

টনসিলাইটিস এর কারন, লক্ষন ও চিকিৎসা




জিহ্বার শেষ প্রান্তে, আলজিহ্বার নিচে দুই পাশে (ডান ও বাম পাশে ) বাদামের মতো ১.৫ সেন্টিমিটার আকারের লাল বর্ণের মাংসপিণ্ডকে টনসিল (Tonsil) বলা হয়ে থাকে। টনসিল দেখতে মাংসপিণ্ডের মতো মনে হলেও এটি আসলে লসিকা কলা বা লিম্ফয়েড টিস্যু দিয়ে তৈরি।
জন্ম থেকেই আমাদের গলার মধ্যে এই টনসিল থাকে এবং বাচ্চাদের বেলায় টনসিল আকারে বড় দেখা যায় এবং পর্যায় ক্রমে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টনসিল ক্রমান্বয়ে ছোট হতে থাকে।

লিভার সিরোসিসের কারন, লক্ষণ ও প্রতিকার



লিভার সিরোসিস লিভারের একটি রোগ। এটি লিভারের একটি অতি জটিল ও মারাত্মক রোগ । এতে লিভারের কোষকলা এমনভাবে ধ্বংস হয়ে যায় যে লিভার তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং লিভারে গুটি গুটি দেখা যায়।

এই রোগে লিভার তথা যকৃতের শেষ পর্যায়ের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারণে এর স্বাভাবিক কাঠামো স্থায়ীভাবে বিনষ্ট হয়। ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে লিভার দুর্বলতাজনিত জটিলতায় রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। লিভারের নিষ্ক্রিয়তা, লিভার ক্যান্সার ও লিভারজনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো এই লিভার সিরোসিস।

ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল কি ?



ইমার্জেন্সি জন্মনিরোধক পিল এমন একটি ঔষধ যা অরক্ষিত সহবাসে ডিম্বানু ও শুক্রানুর নিষিক্তকরণ প্রতিরোধ করে। আর এটি কার্যকারীতা প্রদর্শন করে থাকে তিন দিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত ৷

কখন ইমার্জেন্সি জন্মনিরোধক ব্যবহার করবেন ?
অরক্ষিত সহবাসের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই জন্মনিরোধক ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে, তবে সহবাসের ১২ ঘণ্টার মধ্যে হলে সবচেয়ে ভাল হয় কিন্তু ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের পরে নয়। তবে পিউলি ১২০ ঘন্টা বা পাঁচ দিন পর্যন্ত সেবন করা যায় ৷ কিন্তু সময় যত বেশি হবে ঔষধ তত কার্যকারীতা কম প্রদর্শন করে থাকে ৷ তাই যত তারাতারি সম্ভব ইমার্জেন্সি জন্মনিরোধক পিল সেবন করা কর্তব্য ৷

কোন কোন ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি জন্মনিরোধক পিল ব্যবহার করা করতে হয় ?

গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন জটিলতা ও প্রতিকার






মা হওয়ার আগে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে প্রস্তুতির বিশেষ প্রয়োজন আছে। প্রাপ্ত বয়স্ক একজন নারী যখন মা হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হবেন তখনই তার সন্তানধারণ করা উচিত। কখনোই তার আগে নয়। এর আগে সন্তান ধারণ করলে গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয় ৷ তবে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকলে জটিলতা হবে না তা কিন্তু নয় ৷ এতে জটিলতা হলে কম হবে বা হলেও প্রতিরোধ করা সহজ হবে ৷ কিন্তু আগে থেকেই সতর্ক না থাকলে জটিলতা বেশি হবে আর তাতে বাচ্চা এবং মা দুজনের প্রাণ নাশের আসঙ্কা থাকে ৷ যাই হোক নিচে গর্ভকালীন কিছু জটিলতার কথা উল্লেখ করা হলো।

রক্ত স্বল্পতা, জন্ডিস, খিঁচুনি, পা ফুলে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত বমি হওয়া, পেটে ব্যথা, বিশেষ করে তলপেটে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হওয়া। প্রায়ই জ্বর হওয়া, ডায়াবেটিস ধরা পড়া বা রক্তে সুগার পাওয়া ৷ প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়া ৷ দিন বেশি হচ্ছে কিন্তু তলপেটের আকার বাড়ছে না ৷ যোনিপথে রক্ত ক্ষরণ, রক্তস্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব ৷ জরায়ুর ভিতরে সন্তানে চড়াচড়া অনুভব করতে না পারা ইত্যাদি ৷

গর্ভবতী মায়ের জন্য পালনীয় বিষয়







গর্ভবতী মায়ের সুস্থ বাচ্চা প্রসব করার জন্য এবং নিজে সুস্থ থাকার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় ৷ আর এসব নিয়ম
প্রসূতি মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ তাই আজকের আলোচনায় থাকছে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন জটিলতা এড়ানোর জন্য দরকারী কিছু পরামর্শ ৷

১) প্রসূতি মাকে স্বাভাবিক খাবারের বাইরেও প্রতিদিন অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে ৷

২) মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এবং দুধ জাতীয় প্রাণিজ আমিষ নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে।

৩) স্থূল বা মোটা মায়েদের জন্য শর্করা জাতীয় খাবার (ভাত, রুটি) কিছুটা কম খেতে হবে ৷

গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণের কারণ ও প্রতিকার





একজন নারীর পুরো গর্ভাবস্থাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে ৷ প্রথম তিন মাস বা first trimester , মাঝের তিন মাস বা second trimester ও শেষের তিন মাস বা third trimester ৷ আর এই তিন পর্যায়ের যে কোনো সময় রক্তক্ষরণ হতে পারে।
তাই আজকের আলোচনায় থাকছে গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণের কারণ ও করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ৷

প্রথম তিন মাসে রক্তক্ষরণের কারণঃ

* শতকরা ২০-৩০ ভাগ গর্ভবতীর প্রথম তিন মাসে হালকা রক্তক্ষরণ হতে পারে। এর মধ্যে অর্ধেক বাচ্চার কোনো সমস্যা হয় না ৷ ফলে বাচ্চার কোন রকম সমস্যা ছাড়াই অনেক মহিলা সন্তান প্রসব করে থাকেন ৷

কিভাবে বুঝবেন আপনার হার্ট দূর্বল






হার্ট হচ্ছে আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হার্টের স্পন্দন থেমে যাওয়া মানে জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়া।
সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, আমরা যে অসচেতনতার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করি, তাতে আমাদের হার্টের অসুখের ঝুঁকি অনেক গুন বেড়ে যায়। অথচ স্বাস্থ্যকর এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করলে হার্ট অ্যাটাক এবং হার্টের অন্যান্য অসুখ থেকে অনেক দূরে থাকা যায়। তাই আসুন জেনে নেই কিভাবে বুঝবেন আপনার হার্ট দূর্বল রয়েছে বা হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে ৷


১. হাঁটতে গেলে বা দৌড়াদৌড়ি
করার সময় সহজে হাঁপিয়ে উঠলে বুঝবেন আপনার হার্টে সমস্যা আছে ৷

এপেনডিসাইটিস এর লক্ষণ ও জটিলতা




আমাদের বৃহদন্ত্র নলের মতো ফাঁপা। বৃহদন্ত্রের তিনটি অংশের মধ্যে প্রথম অংশ হচ্ছে সিকাম। এই সিকামের সাথে ছোট একটি আঙ্গুলের মত অভিক্ষেপ হল এপেনডিক্স। কোন কারণে যদি এর মধ্যে পাঁচিত খাদ্য, মল বা কৃমি ঢুকে যায়, তাহলে রক্ত ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। তখন নানা ধরনের জীবাণু আক্রমণ করে ইনফেকশন বা প্রদাহের সৃষ্টি করে এবং এপেনডিক্সের ঐ অংশে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। একেই বলা হয় এপেনডিসাইটিস ৷


লক্ষণ/উপসর্গঃ
পেট ব্যথাঃ প্রথমে নাভির চারপাশে ব্যথা শুরু হয় ৷ এরপরে তলপেটের একটু ডান দিকে গিয়ে ব্যথা স্থির হয়। সময়ের সাথে এই ব্যথার পরিমাণ বাড়ে। রোগির তলপেটে হাত দিলেই ব্যথা অনুভূত হয়, শক্ত অনুভূত হয়।

হিট স্ট্রোক কি, হঠাৎ স্ট্রোক হলে যা করবেন





প্রচণ্ড গরমে শরীর খুব উত্তপ্ত হয়ে দুর্বলতা, বমির উদ্রেক, মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, সমগ্র শরীর কষে আসা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ প্রকাশ পেলে একে হিট স্ট্রোক বলা হয়। হঠাৎ করেই এই সমস্যাগুলো দেখা যায়। এটি একটি অতিজরুরি অবস্থা, সঙ্গে মারাত্মক পানিশূন্যতা থাকে। জেনে নিন আজকের পর্বে এর সম্পর্কে অজানা সব তথ্য ৷

কাদের এই রোগ হয় ?
খেলোয়াড় কিংবা রৌদ্রে যারা কঠোর পরিশ্রম করেন যেমন- ভ্যান, রিকশা, ঠেলাগাড়ির চালক, হকার, কৃষক এরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে ৷ শিশুরা রৌদ্রে দৌড়ঝাপ করার সময়ও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

আইবিডি (IBD) এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার





দীর্ঘমেয়াদী আমাশয়ের সমস্যার মধ্যে অন্যতম প্রধান হল ইনফ্লামেটরী বাওয়েল ডিজিজ তথা আইবিডি(IBD)। আইবিডির মধ্যে দুটো রোগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ যথাঃ ক্রনস ডিজিজ ও আলসারেটিভ কোলাইটিস।

আইবিডি একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা যা বছরের পর বছর চলতে থাকে এবং হঠাৎ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া ও কমে যাওয়ার আচরণ দেখায়। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে ক্রনস ডিজিজ-এর চেয়ে আলসারেটিভ কোলাইটিস এ মানুষ বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। আর ওষুধ খেয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখছে । একটা বিষয় লক্ষণীয় যে - স্বল্পমেয়াদী ব্যাকটেরিয়া জনিত আমাশয়েও রক্ত যায়, কিন্তু এর সাথে আলসারেটিভ কোলাইটিসের পার্থক্য হল যে এটি দীর্ঘমেয়াদী ৷ এতে অধিকাংশ রোগীর ওজন ঠিক থাকে। কারও কারও জ্বর, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা ও পেটে অশ্বস্তি লাগার মত সমস্যা হতে পারে।

আইবিএস (IBS) এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার







দীর্ঘমেয়াদী আমাশয়ের সমস্যার মধ্যে একটি হলো ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম তথা আইবিএস। পৃথিবীর মানুষ পরিপাকতন্ত্রের যে সমস্যাটিতে সবচেয়ে বেশী ভুগে থাকেন এবং যে সমস্যাটির জন্য জীবন যাপনের মানে ঘাটতি হয় তা হলো আইবিএস৷ পুরুষদের চেয়ে মহিলারাই প্রায় দুই থেকে তিনগুণ এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। যারা আইবিএস নামক দীর্ঘমেয়াদী আমাশয় সমস্যায় ভুগেন তাদের কারো কারো উক্ত রোগের সাথে বদহজম, দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি, মাসিকের সময় ব্যথা এবং পুরো শরীর ব্যথাসহ এই জাতীয় সমস্যা থাকে ৷

আইবিএসের কারণঃ
আইবিএসের কারণ ও প্রভাবক হিসেবে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো দুটো ভাগে ভাগ করা যায় ৷ যেমন - মনোসামাজিক ও শারীরবৃত্তীয়।
মনোসামাজিক কারণের মধ্যে আছে দুশ্চিন্তা ও হতাশা। এছাড়া হঠাৎ অধিক মানসিক চাপও আইবিএসকে প্রভাবিত করে। দেখা গেছে, আইবিএসে আক্রান্ত রোগীরা অল্প সমস্যা হলেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তারা পরিস্থিতি সহজে মানিয়ে নিতে পারেন না।
শারীরবৃত্তীয় সমস্যার মধ্যে রয়েছে অন্ত্রনালীর অস্বাভাবিক নাড়াচাড়া, অন্ত্রনালীর বেশী স্পর্শকাতর হয়ে পড়া, এলার্জী ও ইনফেকশন।

হে ফিভার কি, জেনে নিন এর লক্ষন ও প্রতিকার






হে ফিভার হলো হঠাৎ করে শুরু হওয়া অ্যালার্জির মতো। হে ফিভার বা অ্যালার্জি হলে সেই রোগীর অধিক পরিমাণে বার বার হাঁচি হতে থাকে। নাক দিয়ে সব সময় পানির মতো পড়তে থাকে এবং নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

এই রোগের উৎপত্তি সাধারণত ধুলাবালি, ফুলের রেণু, তুলার অাঁশ থেকে কিংবা রোগী সেসব খাবার খেলে অ্যালার্জি হয় সেসব খাবার থেকে হয়ে থাকে। এই অ্যালার্জির কারণে হে ফিভার বা অনবরত হাঁচি হতে থাকে। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগীদের এ ধরনের উপসর্গ বেশি দেখা যায়।

সাধারণত ঘাস ফুলের রেণু থেকেই বেশি অ্যালার্জি হয়ে থাকে। অনেক খাবার থেকে বা ধুলাবালি থেকে যদি অ্যালার্জি সৃষ্টি হয় তাহলে প্রায় সারা বছরই এ রোগের উপসর্গগুলো দেখা যায়। এই রোগের নাম হে ফিভার হলেও অ্যালার্জির কারণে হাঁচিতে জ্বর হয়না।

অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এর কারন, লক্ষণ ও প্রতিকার





অ্যালার্জিক রাইনাইটিস সাধারনত ঠান্ডা জনিত উপসর্গ হাঁচি , চুলকানি, এবং বন্ধ কিংবা প্রবাহ প্রবন নাক এর কারনে হয়ে থাকে। এই উপসর্গ গুলো সাধারনত শুরু হয় অ্যালার্জেন প্রকাশিত হবার পর পরই। কিছু মানুষের অ্যালার্জিক রাইনাইটিস কয়েক মাসের জন্য হয় আবার কিছু মানুষ সারা বছরই অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এ আক্রান্ত থাকে।

রোগের লক্ষনঃ
অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এ আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের কিছু হালকা উপসর্গ বা লক্ষণ থাকে যা খুব সহজেই চিকিৎসা করে ভাল করা যায়।
এলার্জিক রাইনাইটিস রোগটি হলো এলার্জিজনিত নাকের প্রদাহ। এর অন্যতম প্রধান লক্ষন হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কারো কারো চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং চোখ লাল হয়ে যায়।

আইবিএস কি, জেনে নিন এর লক্ষণ ও প্রতিকার





অন্ত্রের সমস্যার মধ্যে ‘ইরিটেবিল বাওয়েল সিনড্রোম’ বা ‘আইবিএস’ অন্যতম। কয়েকটি লক্ষণের সমষ্টিগত প্রকাশকে ‘সিনড্রোম’ বলা হয়। এটি মূলত বৃহদান্ত্রজনিত সমস্যা। অনেক সময় একে ‘উত্তেজিত মলাশয়’ বলেও আখ্যায়িত করা হয়। এটি অন্ত্রের অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগ যেমন- ক্ষতযুক্ত বৃহদান্ত্র (আলসারেটিভ কোলাইটিস), ক্রোন’স্ ডিজিস থেকে আলাদা। এ রোগে অন্ত্রে কোনও প্রদাহ বা কোষকলার পরিবর্তন হয় না বা ‘কলোরেকটাল ক্যান্সার’-হওয়ার আশংকা নেই। কারও কারও ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ তেমন কষ্টদায়ক না হলেও স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।

হাইড্রোসেল বা একশিরা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার





পুরুষের অণ্ডকোষের বাইরের দিকে এক ধরনের পর্দা থাকে, যাকে বলা হয় "টিউনিকা ভেজাইনালিস"। যখন এই টিউনিকা ভেজাইনালিসের মাঝে পরিসড়ার তরল জমতে থাকে তাকে হাইড্রোসিল বলে।
প্রাইমারি হাইড্রোসিলের ক্ষেত্রে ব্যথা না হয়ে ক্রমশ অণ্ডথলি বড় হতে থাকে।

সব সময় টিউনিকা ভেজাইনালিসের দু’টি স্তরের মধ্যে কিছু তরল পদার্থ নিঃসৃত হতে থাকে। আবার যে মাত্রায় এই তরল পদার্থ নিঃসৃত হয় একই মাত্রায় তা পরিশোষিত হয়। যদি পরিশোষণ থেকে এই নিঃসরণের মাত্রা বেশি হয় তখন টিউনিকা
ভেজাইনালিসের দু’টি স্তরের মাঝে তরল জমা হতে থাকে। যাকে বলা হয় হাইড্রোসিল।

নারীদের মাসিক চক্রে সেভ পিরিয়ড এবং ড্যানজার পিরিয়ড





আজকে নিয়ে আসলাম গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ৷ স্বামী স্ত্রী কোন দিন শারীরিক মিলন করলে বাচ্চা কনসেপ্ট করবে আর কোন সময় মিলন করলে বাচ্চা কনসেপ্ট করবে না বা প্রেগন্যান্ট হবে না সেই সম্পর্কে আজকের পোষ্ট ৷ আশা করি প্রত্যেক বিবাহীত ভাই বোনদের কাজে লাগবে এই পোষ্টটি ৷


নারীদের মাসিক স্রাব শেষ হবার পরদিনকে প্রথম দিন ধরে ৫ থেকে ৭ দিন, এই সময়কে বলা হয় Resting Phase.

এরপর ৮ - ১৪ দিন, এই সময়কে বলা হয় Proliferative Phase.

গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ কেন হয় এবং করণীয় কি





গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ বা যোনীপথে স্পটিং হওয়া স্বাভাবিক বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে। প্রতি ৪ জন মায়ের ১ জনের প্রথম দিকে হালকা রক্তপাত হয়। এটি কোন সমস্যার কারণ নয় ৷ কিন্তু যেহেতু রক্তপাত হওয়া অন্য আরও জটিলতার লক্ষন ৷ তাই এটি দেখা গেলেই দেরী না করে ডাক্তারকে জানানো উচিত যাতে তিনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে সবকিছু ঠিক আছে কিনা?

গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ অনেক সময় কোন মারাত্মক জটিলতারও লক্ষন হতে পারে, যেমন-একটোপিক প্রেগন্যান্সি, গর্ভপাত বা প্লাসেন্টা জনিত কোন সমস্যা ইত্যাদি। ডাক্তার রক্তপাতের কারণ জানার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করতে পারেন, যেমন-শারীরিক পরীক্ষা, আলট্রাসাউন্ড, রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদি যাতে তিনি নিশ্চিত হতে পারেন যে গর্ভবতী মা এবং গর্ভের শিশুর সবকিছু ঠিকঠাক আছে।

ল্যাপারোস্কপি সার্জারি কি, এর সুবিধা এবং অসুবিধা







আমরা সচরাচর পেট কেটে সার্জারী করে থাকি। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি হয়েছে ৷ যার ফলে আবিস্কার হয়েছে পেট না কেটে কি করে শুধুমাত্র কয়েকটি ফুটো করে অপারেশন করা যায় ? এই ফুটো দিয়ে ছোট ক্যামেরা ও অন্যান্য যন্ত্র প্রবেশ করিয়ে পেটের ভেতরটা মনিটরের পর্দায় দেখে সার্জারী করাকেই ল্যাপারোস্কপিক সার্জারী বলা হয়।


ইতিহাসঃ ল্যাপারোস্কপিক পদ্ধতিতে পিত্তথলির অপারেশন প্রথম শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। বাংলাদেশে এর প্রচলন ১৯৯১ সনে খুব স্বল্প পরিসরে। তবে ২০০০ সাল থেকে এর প্রচলন অতি দ্রুত প্রসার লাভ করছে।