তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

Showing posts with label আইন. Show all posts
Showing posts with label আইন. Show all posts

ল্যাম্পগ্রান্ট, গ্র্যাচুইটি ও পেনশনের হিসাব জেনে নিন



অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ২৩/১২/২০১৩ তারিখে নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১০.০০৬.১৫-১৮১, স্মারকমূলে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে সরকারি চাকুরিজীবীদের অবসরকালীন সুবিধাদি/প্রাপ্যতা তথা পেনশনযোগ্য চাকুরিকাল ও পেনশনের পরিমান পূণঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
পূর্বেকার পেনশন যোগ্য চাকুরিকাল ১০-২৫ বছরের পরিবর্তে ৫-২৫ বছর এবং পেনশনের হার সর্বশেষ আহরিত মূলবেতনের৮০% এর স্থলে ৯০% -এ উন্নীত করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে চাকুরীকাল ৫ বছর হলেই আপনি পেনশনের আওতায় আসবেন। পূর্বে চাকুরীকাল ১০ বছর না হলে পেনশনের আওতায় আসতো না।
জেনে নিন চাকুরীকাল অনুযায়ী পেনশনের হারঃ 

জেনে রাখুন মুসলিম ফারায়েজ নীতি




আজকে নিয়ে আসলাম আপনাদের সামনে মুসলিম ফারায়েজ আইন অনুসারে সম্পত্তির অংশ কে কতটুকু করে পাবে ? একজন মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের এই ফারায়েজ আইন জেনে রাখা দরকার ৷ তাই পাঠকের সামনে তুলে ধরলাম ৷

স্ত্রীর দুই অবস্থাঃ
(ক) মৃত ব্যাক্তির সন্তান না থাকলে ১/৪,
( খ) আর থাকলে ১/৮ অংশ পাইবে।

কিভাবে পেনশনের হিসাব করবেন





চাকুরী ২৫ বছর হলে আপনি আপনার পেনশনের ৯০ শতাংশ পাওনাদার হবেন। নতুন জাতীয় গেজেট ২০১৫ অনুযায়ী  চাকুরী ৫ বছর হলে আপনি পেনশনের আওতায় আসবেন। আর আপনি তখন মোট পেনশনের ১৮% প্রাপ্ত হবেন। তবে ৫ বছরের নীচে চাকুরী কাল হলে আপনি কোন পেনশন পাবেন না। আর এক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগীতা হিসেবে কেবল তিন মাসের মূল বেতনের সমপরিমান টাকা এককালীন প্রাপ্য হবেন ৷

চাকরিতে ইস্তফা দিবেন, জেনে নিন বিধিমালা






যারা সরকারি চাকরি করেন, চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে অন্য একটি সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন তাদের ইস্তফা পত্র দাখিল বিষয়ে আইন জানা না থাকার কারনে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়৷ কারন সরকারি চাকরিতে কেউ আগে থেকেই না জানিয়ে হঠাৎ ইস্তফাপত্র দিতে পারবেন না ৷ আর হঠাৎ ইস্তফা দিলে তাকে জড়িমানা বা ক্ষতিপূরণ হিসাবে বেতন ফেরত দিতে হবে ৷ এই বিষয়ে স্পষ্ট আইন আছে ৷ পাঠকের সুবিধার্থে আইনটি তুলে ধরা হল ৷

এই ইস্তফা আইনটি ইস্টাব্লিশমেন্ট ম্যানুয়াল বই এর নবম অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এই অধ্যায়ে অবসর গ্রহন, চাকুরী অবসান ও অব্যাহতি বিষয়ে আইনের ধারা উল্লেখ আছে ৷ এর ৫১ নং ধারার (১) উপধারায় সরকারী চাকুরী জীবী যাদের চাকুরী স্থায়ীকরন করা হয়েছে তাদের ইস্তফাপত্র দাখিলের ব্যপারে বলা হয়েছ ৷ আর এই ধারার (২) উপধারায় যাদের চাকুরী স্থায়ী হয়নি তাদের বিষয়ে বলা হয়েছে ৷

The Prescribed Leave Rules 1959 অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সরকারি ছুটি

সরকারী ছুটি সম্পর্কিত বিভিন্ন নিয়মাবলিঃ

The Prescribed Leave Rules 1959, Fundamental Rules, Bangladesh Service Rules এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। উক্ত বিধিমালা ও বিভিন্ন আদেশের আওতায় নিম্নোক্ত প্রকার ছুটির বিধান রয়েছে।

(১) কোন কর্মচারী নিম্নবর্ণিত যে কোন ধরণের ছুটি পাবেন, যথাঃ
(ক) পূর্ণ বেতনে ছুটি;
(খ) অর্ধ বেতনে ছুটি;
গ)বিনা বেতনে অস্বাভাবিক ছুটি (Without Pay Extraordinary Leave);
(ঘ) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি (Special Disability Leave);
(ঙ) সংগরোধ ছুটি (Quarantine Leave);
(চ) প্রসূতি ছুটি (Maternity Leave);
(ছ) অধ্যয়ন ছুটি (Study Leave); এবং
(জ) নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave)

(২) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীকে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি ব্যতীত অন্যবিধ ছুটি মঞ্জুর করতে পারেন এবং ইহা বন্ধের দিনের সাথে সংযুক্ত করেও প্রদান করা যেতে পারে।

পূর্ণ বেতনে ছুটি:
(১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত কার্যদিবসের ১/১১ হারে পূর্ণ বেতনে ছুটি অর্জন করবেন এবং পূর্ণ বেতনে প্রাপ্য এককালীন ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হবে না। পূর্ব অনুমোদন নিয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুরকরতে পারেন।

(২) অর্জিত ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হলে, তাহা ছুটির হিসাবের অন্য খাতে জমা দেখানো হবে, ইহা হতে ডাক্তারী সার্টিফিকেট উপস্থাপন সাপেক্ষে অথবা বাংলাদেশের বাইরে ধর্মীয় সফর, অধ্যয়ন বা অবকাশ ও চিত্তবিনোদনের জন্য পূর্ণ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যেতে পারে।

অর্ধ বেতনে ছুটি:
(১) প্রত্যেক কর্মচারী কর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত কার্য দিবসের ১/১১ হারে অর্ধ বেতনে অর্জন করিবেন এবং এইরূপ ছুটি জমা হওয়ার কোন সীমা থাকিবে না।
(২) অর্ধ-বেতনে দুই দিনের ছুটির পরিবর্তে, ডাক্তারী সার্টিফিকেট দাখিল সাপেক্ষে, এক দিনের পূর্ণ বেতনে ছুটির হারে গড় বেতনে ছুটিতে সর্বোচ্চ বার মাস পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাইতে পারে।

প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি:
১) ডাক্তারী সার্টিফিকেট দ্বারা সমর্থিতহইলে, কোন কর্মচারীকে তাহার সমগ্র চাকুরীজীবনে সর্বোচ্চ বার মাস পর্যন্ত এবং অন্য কোন কারণে হইলে, তিন মাস পর্যন্ত অর্ধ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(২) যখন কোন কর্মচারী তাহার ছুটি পাওনা হওয়ার পূর্বেই প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি ভোগ করিয়া ফিরিয়া আসেন তখন তিনি পূর্বেই যে ছুটি ভোগ করিয়াছেন সেই ছুটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নূতনভাবে গড় অর্ধ বেতনে কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন না।

অসাধারণ ছুটি:
(১) যখন কোন কর্মচারীর অন্য কোন ছুটি পাওনা না থাকে বা অন্য প্রকার কোন ছুটি পাওনা থাকে অথচ সংশিলষ্ট কর্মচারী লিখিতভাবে অস্বাভাবিক ছুটির জন্য আবেদন করেন তখন তাহাকে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(২) অসাধারণ ছুটির মেয়াদ একবারে তিন মাসের অধিক হইবে না, তবে নিম্ন বর্ণিত ক্ষেত্রে উক্ত ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করা যাইতে পারে,
(ক) যে ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মচারী এই শর্তে বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুমতি প্রাপ্ত হন যে, উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরে পাঁচ বৎসরের জন্য তিনি এ চাকুরী করিবেন, অথবা
(খ) যে ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মচারী চিকিৎসাধীন থাকেন; অথবা
(গ) যে ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট হয় যে, কর্মচারী তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে কর্তব্যে যোগদান করিতে অসমর্থ।
(৩) ছুটি মঞ্জুর করার ক্ষমতা সম্পন্ন কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীর বিনা ছুটিতে অনুপস্থিতির সময়কে ভূতাপেক্ষ কার্যকরতাসহ অসাধারণ ছুটিতে রূপান্তরিতকরিতে পারেন।

বিশেষ অক্ষতাজনিত ছুটি:
(১) কোন কর্মচারী তাঁহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া অক্ষম হইলে, তাঁহাকে বিশেষ অক্ষমতা ছুটি মঞ্জুর করিতে পারে।
(২) যে অক্ষমতার কারণে অক্ষমতাজনিত ছুটি চাওয়া হয় সেই অক্ষমতা তিন মাসের মধ্যে প্রকাশ না পাইলে এবং যে ব্যক্তি অক্ষম হন,সেই ব্যক্তি অনুরূপ অক্ষমতার কারণে অবিলম্বে কে অবহিত না করিলে, বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে না।
(৩) যে মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি প্রয়োজনীয় বলিয়া চিকিৎসা পরিষদ প্রত্যায়ন করিবে সেই মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে,এবং চিকিৎসা পরিষদের প্রত্যায়ন ব্যতিরেকে তাহা বর্ধিত করা হইবে না; এবং উক্ত ছুটি কোন ক্রমেই ২৪ মাসের অধিক হইবেনা।
(৪) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি অন্য যে কোন ছুটির সংগে সংযুক্ত করা যাইতে পারে।
(৫) যদি একই ধরণের অবস্থায় পরবর্তীকালে কোন সময় অক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বা উহার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহা হইলে একাধিকবার বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে, তবে অনুরূপ ছুটির পরিমাণ ২৪ মাসের অধিক হইবে না এবং তাহা যে কোন একটি অক্ষমতার কারণে মঞ্জুর করা যাইবে।
(৬) শুধুমাত্র আনুতোষিকের এবং যে ক্ষেত্রে অবসর ভাতা প্রাপ্য হয় সেক্ষেত্রে অবসর ভাতার ব্যাপারে চাকুরী হিসাব করিবার সময় বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি কর্তব্য পালনের সময় হিসাবে গণনা করা হইবে এবং ইহা ছুটির হিসাব হইতে বিয়োজন করা হইবে না।
(৭) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটিকালীন বেতন হইবে নিম্নরূপ যথাঃ(ক) উপরিউক্ত উপ-প্রবিধান (৫) এর অধীনে মঞ্জুরকৃত ছুটির মেয়াদসহ যে কোন মেয়াদের ছুটির প্রথম চার মাসের জন্য পূর্ণ বেতন; এবং(খ) এইরূপ কোন ছুটির অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য অর্ধ বেতন।
(৮) এই প্রবিধানের অন্যান্য বিধানসমূহেরপ্রযোজ্যতা এমন কর্মচারীর ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে যিনি তাহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে, দুর্ঘটনাবশতঃ আঘাতপ্রাপ্ত হইয়াছেন অথবা যিনি নির্দিষ্ট কোন কর্তব্য পালনকালে তাঁহার পদের স্বাভাবিক ঝুকি বহির্ভূত অসুস্থতা বা জখম বাড়াইয়া তোলার সম্ভাবনা থাকে এইরূপ অসুস্থতার দরচণ অক্ষম হইয়াছেন।

সঙ্গরোধ ছুটি:
(১) কোন কর্মচারীর পরিবারে বা গৃহে সংক্রামক ব্যধি থাকার কারণে যদি আদেশ দ্বারা তাহাকে অফিসে উপস্থিত না হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় তবে যে সময়ের জন্য উক্তরূপ নির্দেশ কার্যকর থাকে সেই সময়কাল হইবে সঙ্গরোধ ছুটি।
(২) অফিস প্রধান কোন চিকিৎসক কর্মকর্তা বা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অনুর্ধ ২১ দিন অথবা অস্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ দিনের জন্যসঙ্গরোধ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন।
(৩) সংগরোধের জন্য প্রয়োজনীয় উপ-প্রবিধান (২) এ উলেলখিত মেয়াদের অতিরিক্ত ছুটি প্রয়োজন হইলে উহা সাধারণছুটি হিসাবে গণ্য হইবে।
(৪) এই প্রবিধানমালা অনুযায়ী প্রাপ্য সর্বাধিক ছুটি সাপেক্ষে, প্রয়োজন হইলে অন্যবিধ ছুটির সহিত সংগরোধ ছুটিও মঞ্জুরকরা যাইতে পারে।
(৫) সংগরোধ ছুটিতে থাকাকালে কোন কর্মচারীকে তাহার দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত বলিয়া গণ্য করা হইবে না এবং যখন কোন কর্মচারী নিজেই সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন, তখন তাহাকে এইরূপ কোন ছুটি দেওয়া যাইবে না।

প্রসূতি ছুটি:
(১) কোন কর্মচারীকে পূর্ণ বেতনে সর্বাধিক তিন মাস পর্যন্ত প্রসূতি ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে এবং উহা তাহার পাওনা ছুটির হিসাব হইতে বাদ দেওয়া যাইবে না।
(২) প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরীর অনুরোধ কোন নিবন্ধিত চিকিৎসক কর্তৃক সমর্থিত হইলে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের বিবেচনা মতে কর্মচারীর প্রাপ্য অন্য যে কোন ছুটির সহিত একত্রে বা সম্প্রসারিত করিয়া মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(৩) চাকুরী জীবনে কোন কর্মচারীকে দুইবারের অধিক প্রসূতি ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে না।

অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্তুতিমূলক ছুটি:
(১) কোন কর্মচারী ছয় মাস পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে এবং আরও ছয় মাস অর্ধ বেতনে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্তুতিমূলক ছুটি পাইবেন এবং এইরূপ ছুটির মেয়াদ তাহার অবসর গ্রহণের তারিখ অতিক্রম করার পরেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে, কিন্তু আটান্ন বৎসরের বয়স-সীমা অতিক্রমের পর উহা সম্প্রসারণ করা যাইবে না।
(২) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একমাস পূর্বে অবসর গ্রহণের প্রস্ত্ততিমূলক ছুটির জন্য আবেদন না করিলে তাহার পাওনা ছুটি অবসর গ্রহণের তারিখের পর তামাদি হইয়া যাইবে।
(৩) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একদিন পূর্বে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটিতে যাইবেন।

অধ্যয়ন ছুটি:
(১) চাকুরীর জন্য সহায়ক এইরূপ বৈজ্ঞানিক, কারিগরি বা অনুরূপ সমস্যাদি অধ্যয়ন অথবা বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ গ্রহণের জন্য কোন কর্মচারীকে অর্ধ বেতনে অনধিক বার মাস অধ্যয়নের জন্য ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন, যাহা তাহার ছুটির হিসাব হইতে বাদ দেওয়া হইবে না।
(২) যে ক্ষেত্রে কোন কর্মচারীকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন অধ্যয়ন ছুটিমঞ্জুর করা হয় এবং তিনি পরবর্তীকালে দেখিতে পান যে, মঞ্জুরীকৃত ছুটির মেয়াদ তাহার শিক্ষা কোর্স ও পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেয়াদ অপেক্ষা কম, সে ক্ষেত্রে সময়ের স্বল্পতা পূরণকল্পে তাহাকে অনধিক এক বৎসরের জন্য উক্ত অধ্যয়ন ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করিতে পারেন।
(৩) পূর্ণ বেতনে বা অর্ধ বেতনে ছুটি বা বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটির সহিত একত্রে অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে, তবে এইরূপ মঞ্জুরকৃত ছুটি কোনক্রমেই একত্রে মোট দুই বৎসরের অধিক হইবে না।

নৈমিত্তিক ছুটি:
সরকার সময়ে সময়ে উহার কর্মচারীদের জন্য প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে মোট যতদিন নৈমিত্তিক ছুটি নির্ধারণ করিবেন কর্মচারীগণ মোট ততদিন নৈমিত্তিক ছুটি পাইবেন।ছুটির পদ্ধতি:
(১) প্রত্যেক কর্মচারীর ছুটির হিসাব নির্ধারিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে রক্ষণাবেক্ষণ করা হইবে।
(২) ছুটির জন্য সকল আবেদন নির্ধারিত ফরমেহইতে হইবে।
(৩) আবেদনকারী কর্মচারী যে কর্মকর্তার অধীনে কর্মরত আছেন তাহার সুপারিশক্রমে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন।
(৪) বিশেষ পরিস্থিতিতে, কোন কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাহার অধীনেকর্মরত কোন কর্মচারীর ছুটি পাওনা রহিয়াছে, তবে তিনি আনুষ্ঠানিক মঞ্জুরী আদেশ সাপেক্ষে, তাহাকে অনুর্ধ ১৫ দিনের জন্য ছুটিতে যাইবার অনুমতি দিতে পারেন।








নৈমিত্তিক ছুটি (Casual leave) কি

নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা ১৯৫৯ অনুযায়ী নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave) এর সংগাঃ
সামান্য শরীরিক অসুস্থতা বা কোন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে একটি পঞ্জিকা বর্ষে ২০দিন পর্যন্ত যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে কোন সরকারি কর্মচারী যে ছুটি ভোগ করেন তাহাই নৈমিত্তিক ছুটি। নৈমিত্তিক ছুটিকালীণ সময়কে কর্তব্য কর্মরত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই ছুটি ভোগকালে ছুটি মঞ্জুরীকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করা যায় না।

নৈমিত্তিক ছুটির শর্তাবলীঃ

১. নৈমিত্তিক ছুটি চাকুরী বিধিমালা স্বীকৃত ছুটি নয় এবং নৈমিত্তিক ছুটিজনিত অনুপস্থিতিকে কাজে অনুপস্থিতি হিসাবে গণ্য করা হয় না।
২. পঞ্জিকাবর্ষে সকল সরকারি কর্মচারী বৎসরে সর্ব মোট ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারিবেন।৩. কোন সরকারি কর্মচারীকে এক সংগে ১০ দিনের বেশী নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাইবে না। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বান্দরবন জেলায় কর্মরত সকল সরকারি কর্মচারীকে এক বৎসরে মঞ্জুরযোগ্য ২০ দিনের মধ্যে ১৫ দিন নৈমিত্তিক ছুটি একই সঙ্গে ভোগ করিতে দেওয়া যাইতে পারে।
৪. কোন কর্মকর্তা আবেদন জানাইলে সর্বোচ্চ ৩ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি এক বার বা একাধিক বার অন্য কোন সরকারি ছুটির পূর্বে অথবা পরে সংযুক্ত করার অনুমতি প্রদান করা যাইতে পারে। যে ক্ষেত্রে এই ধরনের আবেদন করা হইবে না বা অনুমতি দেওয়া হইবে না, সেই সকল ক্ষেত্রে রবিবার বা সরকারি ছুটির দিনগুলিও নৈমিত্তিক ছুটি হিসাবে গণ্য করা হইবে।
৫. নৈমিত্তিক ছুটির উভয়দিকে সরকারি ছুটি সংযুক্ত করা যাইবে না।
৬. কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে নৈমিত্তিক ছুটি ভোগকারী কোন ব্যক্তি সদর দপ্তর ত্যাগ করিতে পারিবে না।
৭. নৈমিত্তিক ছুটিতে থাকাকালীন কেহ বিদেশে গমন করিতে পারিবেন না।
৮. সরকারি কাজে অথবা প্রশিক্ষণার্থে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থানরত কর্মকর্তাদিগকে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান সরকার নিরুৎসাহিত করেন। তবে কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্র বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাইবে।

গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২।

আজকে সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্য গুরুত্বপূর্ন একটা অধ্যাদেশ নিয়ে হাজির হলাম। যাদের দরকার কপি করে রাখতে পারেন।
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম: এই অধ্যাদেশ গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ নামে অভিহিত হইবে।
২। সংজ্ঞা: এই অধ্যাদেশে প্রসঙ্গের বা বিষয়ের পরিপন্থি কিছু না থাকিলে:
ক) ‘কর্তৃপক্ষ' বলিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই অধ্যাদেশের আওতায় কর্তৃপক্ষ এর ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষকে বুঝাইবে;
খ) ‘গণ কর্মচারী’ বলিতে প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ সংস্থায় কর্মরত কর্মচারীদের বুঝাইবে।
৩। অন্যান্য আইনের উপর অধ্যাদেশের প্রাধান্য: গণ কর্মচারী সম্পর্কিত অন্য কোন আইন, বিধিমালা বা রেগুলেশন অথবা গণকর্মচারীরর চাকরির শর্তাবলীতে যাহা কিছুই বর্ণিত থাকুক না কেন এই অধ্যাদেশ কার্যকর হইবে।
৪। বিনানুমতিতে কাজে অনুপস্থিতির জন্য দন্ড: কোন গণকর্মচারী তাঁহার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এর পুর্বানুমতি ব্যতিরেকে ছুটিতে গেলে বা কর্মে অনুপস্থিত থাকিলে, কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য উক্ত কর্মচারীর একদিনের মূল বেতন কর্তন করিবেন।
৫। বিনানুমতিতে অফিস ত্যাগের জন্য দন্ড: কোন গণ কর্মচারী অফিস চলাকালীন সময়ে তাঁহার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এর পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে অফিস ত্যাগ করিলে, কর্তৃপক্ষ এইরূপ প্রতিক্ষেত্রে একদিনের মূল বেতন কর্তন করিবেন।
৬। বিলম্বে উপস্থিতির জন্য দন্ড: কোন গণ কর্মচারী অফিসে বিলম্বে হাজির হইলে,কর্তৃপক্ষ প্রতি দুই দিনের বিলম্বে উপস্থিতির জন্য একদিনের মূল বেতন কর্তন করিবেন।
৭। অপরাধের পুনরাবৃত্তির জন্য দন্ড: কোন গণকর্মচারী ত্রিশ দিনের ভিতর ৪ বা ৫ বা ৬ ধারায় বর্ণিত অপরাধ একাধিক বার করিলে,কর্তৃপক্ষ আরো অতিরিক্ত সাত দিনের মূল বেতন কর্তন করিতে পারিবেন।
৮। আবেদন পেশ: ৪ বা ৫ বা ৬ বা ৭ ধারার অধীনে কোন গণ কর্মচারীর বেতন কর্তনের আদেশ প্রদান করা হইলে, আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট গণ কর্মচারী কর্তৃপক্ষের নিকট আদেশ পুনঃ বিবেচনার জন্য আবেদন পেশ করিতে পারিবেন এবং তদপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ যেরূপ যথাযথ বলিয়া বিবেচনা করিবেন, সেরূপ শুনানী গ্রহণান্তে আদেশ সংশোধন, বাতিল বা বহাল রাখিতে পারিবেন।
৯। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সহিত পরামর্শের প্রয়োজন নাই: এই অধ্যাদেশের অধীন কোন বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সহিত পরামর্শের প্রয়োজন হইবেনা।
১০। আদালতের এখতিয়ার খর্ব: এই অধ্যাদেশের অধীন গৃহীত কোন কার্যক্রম বা আদেশ সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।



গণকর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ সম্পর্কীত নির্বাহী নির্দেশনাঃ
এই অধ্যাদেশ সম্পর্কে স্মারক নং: গঊউ/চঝ/৮২-১০৩,তারিখ: ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২ এর মাধ্যমে নিম্নরূপ নির্দেশনা জারি করা হয় :
১। গণকর্মচারীগণের অফিসে সময়মত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে এবং অননুমোদিত অনুপস্থিতি বন্ধ করার লক্ষে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এই অধ্যাদেশ জারি করেন। অফিসে বিলম্বে উপস্থিতি বা অননুমোদিত অনুপস্থিতি বা পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে অফিস ত্যাগের ক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশের অধীনে দন্ড প্রদানের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে। এখন হইতে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানগণ তাঁহার অধীনস্থ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অফিসে সময়মত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে এবং অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী থাকিবেন।
২। সকল নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অনতিবিলম্বে অধ্যাদেশের ২ (এ) ধারায় সংজ্ঞায়িত কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারণ করিবেন। অফিসের আকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য একাধিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারণ করা যাইবে।
৩। নির্ধারিত অফিস সময়ের এক মিনিট বিলম্বে উপস্থিত হইলেও এই অধ্যাদেশের আওতায় দন্ড প্রদান করা যাইবে। যানবাহন না পাওয়া, যানবাহন নষ্ট হওয়া, পাবলিক সার্ভিস ট্রান্সপোর্ট দেরীতে পৌঁছানো, অলংঘনীয় ব্যক্তিগত কাজ যুক্তি সংগত কারণ হিসাবে গ্রহণ যোগ্য হইবে না ।
৪। প্রত্যেক অফিসে সাময়িকভাবে অফিস ত্যাগের জন্য একটি রেজিস্টার রক্ষণাবেক্ষণ করিতে হইবে। রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ না করিয়া কেহ অফিস ত্যাগ করিতে পারিবে না। উক্ত রেজিস্টারে কর্মকর্তা /কর্মচারীর নাম, অফিস ত্যাগের কারণ, অফিস ত্যাগের সময় এবং অফিসে প্রত্যাবর্তনের সময় লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
৫। কেহ অফিসে উপস্থিত থাকিতে পারিবেন না বা পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন না। কেবল অলংঘনীয় কাজ এবং হঠাৎ অসুস্থ্যতা অনুপস্থিতির সন্তোষজনক কারণ বলিয়া গ্রহণযোগ্য হইবে। তবে অলংঘনীয় কাজ সাক্ষ্য প্রমাণ দ্বারা এবং হঠাৎ অসুস্থ্যতা অনুমোদিত চিকিৎসকের সার্টিফিকেট দ্বারা প্রমাণিত হইতে হইবে। অভ্যাসগত অপরাধীদেরকে বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণপূর্বক গুরুদন্ড প্রদান করিতে হইবে।
৬। সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর মাসিক বেতন বিল হইতে দন্ডের অর্থ কর্তন পূর্বক আদায় করিতে হইবে। উক্ত কর্মচারী নিজের বিল নিজে উত্তোলনকারী হইলে, তাঁকে বেতন বিল হইতে দন্ডের অর্থ কর্তন করার নির্দেশ দিতে হইবে এবং নির্দেশের কপি নিরীক্ষা অফিসে প্রেরণ করিতে হইবে। উক্ত কর্মচারী বেতন বিল হইতে দন্ডের অর্থ কর্তন না করিলে নিরীক্ষা অফিস কর্তন পূর্বক বিল পাশ করিবে।
৭। অধ্যাদেশের ধারা-৮ এর অধীনে আবেদনের ভিত্তিতে শুনানির ক্ষেত্রে কেবল সাক্ষ্যরে সংক্ষিপ্তসার, প্রাপ্ত তথ্যাদি এবং সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজন হইবে।
৮। এই অধ্যাদেশের অধীনে দন্ড প্রদানের ক্ষেত্রে কর্ম কমিশনের পরামর্শের প্রয়োজন হইবে না।

জেনে নিন উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী কে কতটুকু সম্পত্তি পাবেন



বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সা.) আজ থেকে ১৪শ'বছর আগেই বলে গিয়েছেন, ''উত্তরাধিকার আইন নিজে জানো ও অপরকে শেখাও, সকল জ্ঞানের অর্ধেক হল এই জ্ঞান।'' মুসলিম হাওয়া সত্ত্বেও আমাদের অনেকেরই উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। কিন্তু এটা প্রত্যেক মুসলিমের জানা প্রয়োজন। মুসলিম আইনে কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার ওপর ভিত্তি করে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়ে থাকে। এভাবে বণ্টন করাকে ফারায়েজ বলা হয়। এই সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সূরা নিসাতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। তাই এই বিষয়ে জানা উচিত।
আজকে শুধু আমরা স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা ও পুত্র-কন্যার উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী প্রাপ্য অংশ নিয়ে আলোচনা করব। তবে কোন মুসলমান মারা গেলে তার সম্পত্তি বণ্টনের আগে কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়।
চলুন আগে জেনে নেই কী সেই সব আনুষ্ঠানিকতা।